রামেকে ডেঙ্গু চিকিৎসায় ৪৯৪ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে ৪৬৩ জন

 রাজশাহী ব্যুরো ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না)

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমতে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই বাড়ি ফিরছে বেশিরভাগ রোগী। নতুন রোগী ভর্তি চেয়ে বাড়ি ফিরছে বেশী ভাগ রোগী । গত বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ১২ জন। অথচ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন। রামেক হাসপাতালের তথ্য মতে , গত ১৭ই জুলাই থেকে চলমান রয়েছে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি। গত বুধবার ২১ শে আগস্ট পর্যন্ত রামেকে হাসপাতালে মোট রোগী ভর্তি আছে ৩০ জন, এবছর রামেক হাসপালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৯৪ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪৬৩ জন। এছাড়াও নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ জন। এবছর রামেক হাসপালে মোট ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয় ৪ জন। বাকি সবাই এসেছে ঢাকা থেকে। চলতি বছরে রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগে মারা যায় ১জন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বলেন, প্রতিদিন রোগী যেমন বাড়ছে, তেমনি সুস্থ হয়ে আবার বাড়িও ফিরছেন। আর তারা প্রায় সবাই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে রাজশাহীতে কেবল মাত্র ৪জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এদের সবাই এখনও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডাঃ সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস আরো বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অংশ ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হয়েছে। সেখানে বেড সংখ্যা ১৭টি। তিনটি বেড নিয়ে হাসপাতালের ১৭ নম্বর কেবিনটিকে ডেঙ্গু কর্নার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশারি টানিয়ে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। সেখানেই বেশিরভাগ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এনিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক। এদিকে রামেকে হাসপাতালে প্রথম দিকে কোন কিট না থাকলেও পরবর্তীতে কিট আসে। এর বাহিরে রাজশাহীর প্রায় ১০ থেকে ১২টি রোগ নির্নিয় কেন্দ্রে ডেঙ্গু রোগী সনাক্তকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি রেটের বাহিরে কোন বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এবছর সরকার ডেঙ্গু রোগী নির্নয় ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে ৫০০ টাকা। তবে রামেকে সব রোগীর ফি চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনি রোগীদের বিভিন্ন ধরনের টেস্টগুলোও করতে বাহিরে যেতে হচ্ছে এতে করে বেগ পেতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।

আপনি আরও পড়তে পারেন